“এটি একটি খুব সাহসী সিদ্ধান্ত এবং…”, মাঞ্জরেকার সহ অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিরা এই নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন

ভারত (India), সোমবার এশিয়া কাপ ২০২৩-এর জন্য ১৭-সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, তাই এখন এই নির্বাচন নিয়ে অভিজ্ঞদের পর্যালোচনাও আসতে শুরু করেছে। প্রাক্তন অভিজ্ঞ সঞ্জয় মাঞ্জরেকার এবং টম মুডি উভয়েই ঘোষিত দলে তরুণ তিলক ভার্মার নির্বাচনকে সমর্থন করেছেন। রিজার্ভ খেলোয়াড় সঞ্জু স্যামসন সহ দলে মোট ১৮ জন সদস্য রয়েছেন। উইন্ডিজের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিলক ভার্মা যে স্তরের ব্যাটিং করেছিলেন তাতে সন্দেহ নেই যে তাঁর সম্পর্কে সকলের মতামত পাল্টেছে। আর বাছাই কমিটি ও ভারতীয় ব্যবস্থাপনাও এর ব্যতিক্রম নয়।

দুই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ভার্মা। তিলক তিনটি ম্যাচে ৫৭.৬৬ গড়ে এবং ১৪০-এর বেশি স্ট্রাইক-রেটে ১৭৩ রান করেছিলেন। ভারত তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে, কিন্তু তিলকের প্রতি সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার সময়, মাঞ্জরেকর, তিলকের দুর্দান্ত ফর্মের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, ‘তিনি এই তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের কোনও ত্রুটি দেখেন না’।

তিনি আরও বলেন, ‘ভার্মা দারুণ ফর্মে আছেন। দেখবেন তার ঘরোয়া ক্যারিয়ার। টিম ইন্ডিয়াতে তার নির্বাচন তার পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করে। সাদা বলের ফরম্যাটে তার ব্যাটিংয়ে দোষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমি আগেই বলেছি যে লেভেলের ব্যাটসম্যানদের চার, পাঁচ ও ছয় নম্বরে খাওয়ানো উচিত। এক, দুই ও তিন নম্বরের জন্য রয়েছে তীব্র প্রতিযোগিতা। এখন আমাদের চার, পাঁচ ও ছয় পজিশনে মানসম্পন্ন ব্যাটসম্যানদের খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত’।

মাঞ্জরেকরের সাথে একমত হয়ে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন কোচ টম মুডি বলেছিলেন যে, ‘আমি মনে করি এটি একটি খুব ভাল নির্বাচন। এটি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত, তবে এটি একটি বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত। এটা স্পষ্ট যে তিলক ভার্মা একজন উদীয়মান খেলোয়াড়। এটা আমি আগেও বলেছিলাম। তিলকের শুধু যোগ্যতাই নয়, তার মেজাজও চমৎকার। আর তিলক তা ধারাবাহিকতার সাথে দেখিয়েছেন’।

মুডি এও বলেন, ‘আমরা টপ অর্ডারে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছি। এমন পরিস্থিতিতে তাকে পাঁচ বা ছয় নম্বরে খেলা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বিশেষ করে স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যালেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে’। জানিয়ে রাখি, ভারতীয় দল বি গ্রুপে রয়েছে, যা ২রা সেপ্টেম্বর পাল্লেকালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে। এরপর ৪ঠা সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে পরের ম্যাচ খেলবে ভারত।