অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। অভিজ্ঞ ও তরুণ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে ১৫ জন খেলোয়াড়কে বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা। একই সঙ্গে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলে এশিয়া কাপের সবচেয়ে বড় ভিলেনকে বেছে নেননি নির্বাচকরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এশিয়া কাপের ভুলের পুনরাবৃত্তি করেননি নির্বাচকরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকরা চার ফাস্ট বোলারকে সুযোগ দিয়েছেন, যার মধ্যে আভেশ খানকে বাছাই করা হয়নি। যেখানে আভেশ খান খুব খারাপ ফর্ম নিয়ে লড়াই করছিলেন। এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা তার বিপক্ষে রান লুটে নেয় এবং উইকেট নিতে ব্যর্থ হয়। যে কারণে এশিয়া কাপ থেকে আগেই ছিটকে যেতে হয়েছে ভারতকে। তাই এইবারে আর নির্বাচকরা ভুল না করে তাকে আগেভাগে বাদ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। আভেশ খান একজন তরুণ অনভিজ্ঞ প্লেয়ার সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও নির্বাচকরা সবকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে দল থেকে বাইরে রেখেছে।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে শোচনীয়ভাবে ফ্লপ হয়েছিলেন আবেশ খান। তিনি তার দুই ওভারে ১৯ রান দেন এবং মাত্র একটি উইকেট নিতে পারেন। এমনকি হংকংয়ের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষেও উইকেট নিতে ব্যর্থ হন। হংকংয়ের বিপক্ষে, তিনি তার চার ওভারের কোটায় ৫৩ রান দেন এবং একটি উইকেট নিতে পারেন। এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়ে তার খারাপ ফর্মের খেসারত দিতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে।
এশিয়া কাপে ভারতের জন্য খুবই ভারী হয়ে পড়েছিল আভেশ খান। তার খুবই খারাপ বোলিং এর জন্য কোথায় কোথায় রান দিয়েছেন প্রত্যেকটি দলকে। এমনকি তিনি হংকং এর মত দুর্বল দলকেও ৫৩ রান দিয়েছেন এবং একটি উইকেটও নিতে পারেনি।আভেশ খানের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, তিনি এখনও পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এই ম্যাচে তিনি ৯.১১ ইকোনমিতে রান খরচ করেছেন এবং মাত্র ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। এবং বড় ম্যাচগুলো তেও সেরকম ভাবে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।