আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (ICC) র বার্ষিক আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই পাবে বিসিসিআই (BCCI)। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হওয়ার পর জানা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাবে ১৯০০ কোটি টাকা। যা আর কোনো বোর্ডই পাবে না। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বছরে পেতো ৪১৬ কোটির মতন। অর্থাৎ ২০১৬ থেকে আট বছরে ২০২৩ পর্যন্ত পেয়েছিল প্রায় ৩৩২২ কোটি টাকা। এবার তার থেকে অনেকটাই বেশি টাকা পেতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
তবে এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটেও কি কি সুবিধা হবে সেটাও অবশ্য দেখার বিষয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার এক আধিকারিক ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বেশ কিছু কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অন্য সব দেশের থেকে বেশি। আইসিসির ফিনান্সিয়াল অ্যান্ড কমারশিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। বৈঠকে সেটা ঘোষণা করা হবে, ৩৮.৫ শতাংশ পাবে ভারত।
সেখানে ৬.৮৯ শতাংশ পাবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এবং ৬.২৫ শতাংশ পাবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। ভারত থেকে সব থেকে বেশি রোজগার হয় আইসিসির। তাই লভ্যাংশের সিংহভাগ যে বিসিসিআই (BCCI) পাবে তাতে অন্যায়ের কিছু নেই। অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডও এ বার আগের থেকে বেশি টাকা পাচ্ছে। দেখে হয়তো মনে হতে পারে একটা বোর্ডকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আসলে তা নয়, আর এই লভ্যাংশ ভাগ করে দেওয়ার নেপথ্যে অনেক বিষয় রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই বৃহৎ অঙ্কের টাকা পাওয়ার ব্যাপারটিও মানতে পারেনি পাকিস্তান।
আরো পড়ুনঃ ‘সচিন-দ্রাবিড়রা পরামর্শ চাইতে আসত, রোহিত-কোহলিরা আসে না!’ ফের খোঁচা গাভাস্কারের
ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে আপত্তিও তুলেছিলো পাকিস্তান, কিন্তু শেষমেশ কোনো লাভই হয়নি। অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ভালো লাভ করবে আর পাকিস্তান আওয়াজ তুলবে না এই বিষয়টিও ঠিক মেনে নেওয়া যায় না। সব মিলিয়ে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মাঝেই গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিলো বিসিসিআই এর এই সংবাদ। যেখানে মোটা অঙ্কের টাকা মেলার খবর এখন আলোচনার শীর্ষে।