অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ‘ব্যাজবল’ খেলা নিয়ে ভারতকে হুঙ্কার দিল বেন স্টোকস

২০২২ সালের জুন মাসে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের হেডকোচ হিসেবে যুক্ত হন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। নিজের ক্রিকেট জীবনে খুবই আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলতেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ব্যাটিং হোক কিংবা ফিল্ডিং সব সময় তিনি আক্রমণাত্মক জঙ্গিমাতেই থাকতেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হেডকোচ হয়ে আসার পর টেস্ট ক্রিকেটে তিনি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট শুরু করেন।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস (Ben Stokes) ম্যাকালাম এর কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিলেন। ম্যাকালাম যেমন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতেন স্টোকসও (Ben Stokes) তেমনি ভয়ডরহীন ক্রিকেট পছন্দ করতেন। আর এই দুজনের যুগলবন্দীতে টেস্ট ক্রিকেটের নতুন যুগের শুরু হয় “ব্যাজবল” ক্রিকেট।

আরও পড়ুন:- ব্যাটে-বলে বিশ্বরেকর্ড! জীবনের শেষ টেস্টে ইতিহাস গড়লেন স্টুয়ার্ট ব্রড

ব্যাজবল ক্রিকেট খেলে একের পরের তাবর তাবর দলকে ঘায়েল করে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশকে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে যখন প্যাট কামিংস, মিচেল স্টার্কদের সামনে পড়বে ইংল্যান্ড দল তখন তাদের এই ব্যাজবল ক্রিকেট চলবে না।

আরও পড়ুন:- বুমরাকে নিয়ে সময় নষ্ট করছে বোর্ড, ফের বিস্ফোরক কপিল দেব

ব্যাজবল ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। তারপর সেই দাবি আরও জোরালো হয়। তবে ব্যাজবল ক্রিকেটেই অনড় থেকে শেষ পর্যন্ত ২-২ ফলাফলে টেস্ট সিরিজ ড্র করল ইংল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ম্যানচেস্টার টেস্ট ড্র না হলে সিরিজ জিতে যেত ইংল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এবার সরাসরি ভারতকে হুংকার দিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। এদিন বেন স্টোকস বলেন, “ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ হয়ে আসার পর ইংল্যান্ড যখন প্রথমবার ‘ব্যাজবল’ খেলা শুরু করেছিল, তখন সমালোচকরা বলেছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেরকম মারকুটে ছন্দে খেলা যাবে না। কিন্তু সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়ে প্রতিটি সিরিজে ‘ব্যাজবল’ খেলছিল ইংল্যান্ড। আশা করছি ভারতেও এই ছন্দেই খেলতে পারবো।”