৩ বছরেও জিততে পারেনি মন! কি কি কারণে জন্য সৌরভকে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হচ্ছে জানুন?

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট (Indian Cricket Board President) নিয়ে সমালোচনা এখন তুঙ্গে। বিরাট কোহলিকে হঠাৎ করেই ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরানোর পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ও সচিবকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কম ছিল না। এখন একাধিক অভিযোগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেনি তিনি। তবে আগামী মাসে তার মেয়াদ শেষ হলেই সরে যেতে হবে, কিন্তু তার আগেই সরে গেলে গল্পটা অন্যরকম দাঁড়াবে।

Indiana cricket board president

যদি সব ঠিকঠাক থাকতো ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতেন সৌরভ। তবে একাধিক অভিযোগের কারণে এখন অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। সৌরভকে সরানো হলেও জয়শাহ সচিবের পদেই থাকছেন। শোনা যাচ্ছে, বিসিসিআই এখনই ছাড়তে চাইনি তাকে বরং আইপিএলের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখা হচ্ছিল। সৌরভ নিজেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এখন একাধিক বিবাদে তিনি জর্জরিত। যার কারনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নতুন মুখ উঠে আসছে রজার বিনির (India New Board President) নাম। তবে কি কি কারণে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হচ্ছে আসুন জেনে নিই এক নজরে।

• ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সৌরভ। হঠাৎ করেই অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয় এই জনপ্রিয় ক্রিকেটারকে। যেটা ভক্তরা মোটেও ভালো চোখে নেয়নি। এ বিষয়ে কোহলি নাম না করেই সৌরভকে মিথ্যুক বলেছিলেন। এরপর পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন সৌরভও। এই দুজনের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না।

• ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা সৌরভের অনেক সিদ্ধান্তের সঙ্গেই সহমত ছিলেন না অন্যান্য কর্মকর্তারা। তার কাজে কোন কৃতিত্ব পায়নি বাকি কর্তাদের কাছ থেকে।

• করোনা চলাকালীন BCCI সফলভাবে আইপিএল পরিচালনা করে। যেখানে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি আর কৃতিত্ব দিয়েছে জয় শাহকে। শাহ-র জন্য এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ক্রিকেট কর্তারা।

• শুধু তাই নয় আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব বিক্রি করে ৪৮ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে BCCI। এর কৃতিত্বও জয়শাহ ও অরুণ ধূমালকে দিয়েছেন ক্রিকেট কর্তারা।    Sourav ganguly

• সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় BCCI-র স্পনসরের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। যেটা মোটেও ভালো ছিল না। এর তীব্র বিরোধিতা করেন অনেক বোর্ড কর্মকর্তারা। কিন্তু তিনি আইনের ফাঁক গোলে বেরিয়ে যান।

• এছাড়া দল নির্বাচনের বৈঠকে তিনি থাকতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেটা তার কাজের বাইরে। তিনি দল গঠনে মাথাচারা দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যেখানে সামঞ্জস্য একটু বদলে যেত।

• অনেক ক্রিকেট কর্মকর্তারা মনে করেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর না সরিয়ে তার মেয়াদ বাড়াতে পারতো। কারণ রবি শাস্ত্রী ও বিরাট কোহলির জুটি থেকে সাফল্য আসছিল। কিন্তু শাস্ত্রীর চুক্তি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাকে সরিয়ে রাহুলকে আনা হয়।