ট্রায়ালে শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও নাম কাটা হয়েছে, তার পরিবর্তে যাবেন প্রণতি নায়ক ও প্রণতি দাস

রিও অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান অর্জন করা জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার’কে (Dipa Karmakar) এশিয়াড স্কোয়াডে রাখা হয়নি। তবে, বিচারে শীর্ষে ছিলেন দীপা কর্মকার। জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (জিএফআই) দীপা কর্মকারের নাম পাঠিয়েছে। যাইহোক, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (IOA) তার নামটি বাদ দিয়েছিল। জিএফআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ এই তারকা জিমন্যাস্ট। দীপার জায়গায় এখন আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসের এশিয়াড দলে জায়গা পেয়েছেন প্রণতি নায়ক ও প্রণতি দাস।

দীপার নাম কেটে দেওয়ায় বিভ্রান্ত জিএফআই। জিএফআই সভাপতি সুধীর মিত্তাল স্পোর্টস ওয়েবসাইটকে বলেছেন যে, ‘দীপা কর্মকার যাওয়ার যোগ্য। আমাদের পাঠানো তালিকায় তার নাম ছিল শীর্ষে। আমরা জানি না কিসের ভিত্তিতে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে’। মিত্তাল আরও বলেছেন যে, ‘আমরা কিছু কারণে বিচার করেছি। এখন দীপা ট্রায়ালে সেরা পারফর্ম করেছে, তাই তার যাওয়া উচিত।

মহিলাদের জিমন্যাস্টিকস দলকে দুই সদস্যের স্কোয়াডে নামানো হলে কাকে বেছে নেওয়া উচিত তা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি’। ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে দীপা জিমন্যাস্টিকসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট হয়েছিলেন। এছাড়াও, কর্মকার ২০১৬ সালের অলিম্পিকে চার নম্বরে শেষ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, দীপা কর্মকার ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। এই কারণে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (আইটিএ) অনুসারে, আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের প্রতিযোগিতার বাইরে নেওয়া একটি নমুনায় দীপা কর্মকারকে নিষিদ্ধ ড্রাগ হাইজেনামাইন গ্রহণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ১১ই অক্টোবর ২০২১-এ প্রতিযোগিতার পরে দীপার নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তার উপর নিষেধাজ্ঞা ১০ই জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত বহাল ছিল।