পাকিস্তানি হকির দল সংস্থার কর্মকর্তাদের ধিক্কার বিদেশী কোচ! পাকিস্তান ছেড়ে নিজের দেশে ফিরলেন সেদেশের হকি দলের বিদেশি কোচ সিগফ্রেড আকমান (Siegfried Aikman)। পাকিস্তানের হকি দল পরিচালনা করা নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) বাসিন্দা সিগফ্রেড আকমানের একাধিক অভিযোগ।গত ৮ মাস ধরে মেলেনি কোন পারিশ্রমিক। অবশেষে বিরক্ত হয়ে নিজের দেশে ফিরলেন তিনি।
পাকিস্তান হকি ফেডারেশন সূত্রের খবর, শুধু বেতন সংক্রান্ত বিষয় নয়, সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়েও বিরক্ত ছিলেন আকমান। সংস্থার এক আধিকারিক জানান, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তারা বার বার মাথা গলাতেন। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি আকমান। সেই আধিকারিকের জানিয়েছেন, “পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের কাছ থেকে নিজের বকেয়া পারিশ্রমিক (Pakistan Hockey Coach Salary) পাওয়ার জন্য বহু দিন অপেক্ষা করেছিলেন আকমান। কিন্তু গত ৮ মাস ধরে মেলেনি কোন বেতন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, আর না অনেক দেখেছি। অবশেষে ধিক্কার জানিয়ে নিজের দেশে ফিরলেন তিনি।”
উল্লেখভাবে, পাকিস্তান হকি দল চালানো করতে টাকা ব্যায় করে পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ড। যেখানে পুরো দলের দায়ভার পাকিস্তানি স্পোর্টস বোর্ডের (Pakistan Sports Board)। দলের কোচ থেকে শুরু করে সিনিয়র ও জুনিয়র সকল খেলোয়াড়দের বেতন সেখান থেকেই দেওয়া হয়। কিন্তু বেতনে দীর্ঘদিন খরা।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে আর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সামনে হকির কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট না থাকায় দেশে ফিরে গিয়েছেন আকমান। এর সঙ্গে বেতন না পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, চলতি মাসের শেষের দিকে তার পুরো পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর তিনি বলেন, অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান হকি ফেডারেশন আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। এই বিষয়ে অনেক হকি খেলোয়াড়র অভিযোগ করেছেন। দেশে ফেরার আগে একই অভিযোগ টেনে এনেছে আকমান। কোচ হিসাবে তিনি বলেন, খালি পেট ও মাথায় রোজগারের চিন্তা থাকলে খেলোয়াড়রা কোনও দিন ভাল খেলতে পারে না। তাই ম্যাচের ব্যার্থতা নিয়ে খেলোয়াড়দের দিকে আঙুল তোলা উচিত নয়। ফেডারেশনের উচিত, এদিকে একটু নজর রাখা।
আমরা আপনাকে বলি, চলতি বছরই পাকিস্তানের হকি দলের কোচ (Pakistan hockey coach) হিসাবে যুক্ত হয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের আকমান। তিনি পাকিস্তানী হকি দলকে এশিয়া কাপ, কমনওয়েলথ গেমস, সুলতান আজলান শাহ কাপ এবং সুপার হকি লিগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।কিন্তু কোনও প্রতিযোগিতাতেই ছাপ ফেলতে পারেনি তাঁরা। এর জন্য হকি সংস্থার কর্তারা অনেকেই দোষী করেছেন আকমানকে। এর প্রভাব কি তার বেতনের উপর পরবে এ নিয়ে রয়েছে অনেক সংশয়।