‘আজ আমি যা হয়েছি তাতে ওনার অবদান অনেক’, সৌরভকে নিয়ে বড় মন্তব্য ইংল্যান্ড অধিনায়ক

বর্তমান ক্রিকেটের একটি বড় নাম হল জস বাটলার (Jos Buttler)। এখন তিনি টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও আইপিএলে অনবদ্য ইনিংস খেলে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। কোন খেলোয়াড়েরই উচ্চশ্রেণীতে পৌঁছানোর রাস্তা খুব একটা সহজ থাকে না। বিশেষ করে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মানসিক সক্ষমতা ও খেলার প্রতি আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড় তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এমনটাই জানাচ্ছেন জস বাটলার।

Buttler ganguly and david

ঠিক কি ঘটেছিল?

বাটলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের (World Cup 1999) সময় করে। তখন সবে তিনি ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালে ভারত দলের পারফরমেন্স ছিল খুবই খারাপ। ভারত সেমিফাইনালে ওঠার আগে ছিটকে যায়। এই বিশ্বকাপের ফাইনালের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। তখন অস্ট্রেলিয়া স্টিভ ওয়ারের নেতৃত্বে শিরোপা জেতেন। কিন্তু এই টুর্নামেন্ট ভারত ও শ্রীলংকার একটি ম্যাচ বাটলারের জীবন বদলে দেয়।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে একটি ম্যাচে ভারত ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়। এক সাক্ষাৎকারে বাটলার বলেছেন, “১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলংকার (India vs Srilanka 1999 Worldcup) একটি ম্যাচে সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়ের ইনিংস তার জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলে।” এই ম্যাচে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেন সৌরভ-রাহুল যুগ্মভাবে। তারা এই ম্যাচে ৩১৮ রানের পার্টনারশিপ (Ganguly and David Partnership) করেন। আর এই ইনিংসই তার জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।

Ganguly and david partnership

বাটলার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, “ওটা আমার শুরুর বছর ছিল। আর ওই ম্যাচে সৌরভ ও দ্রাবিড়কে বড় সেঞ্চুরি করতে দেখে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগেছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে তাদের এই প্রদর্শন ছিল অসাধারণ। গ্যালারি ছিল ভারতীয় দর্শকের পরিপূর্ণ, সেটাই ছিল ভারতীয় দর্শক দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা। তখন আমার মনের মধ্যে একটা চেতনা জাগে খেলার প্রতি মানুষ কতটা প্যাশনেট আর যদি সেটা বিশ্বকাপ হয় তাহলে তো কোন কোথায় নয়। আমার মধ্যে এই অনুভূতি জেগেছে গাঙ্গুলী ও দ্রাবিড়ের ইনিংস থেকেই।”

Jos buttler

ভারতে এই ম্যাচে ৩৭৪ রানের বিশাল টার্গেট খাড়া করেছিল শ্রীলংকার কাছে। যার মধ্যে গাঙ্গুলির ইনিংসটি ছিল ১৫৮ বলে ১৮৩ রান। অন্যদিকে দ্রাবিড় ১২৯ বলে ১৪৫ রান করেন। এই ম্যাচে ২১৬ রানেই শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়। ম্যাচের শেষে গাঙ্গুলী ও দ্রাবিড় যে সম্মান পেয়েছিল সেই অনুভূতি বাটলারের জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছে। বর্তমানে বাটলার নিজে একজন বড় মাপের ক্রিকেটার।