এশিয়া কাপে জাসপ্রিত বুমরাহ বনাম শাহিন আফ্রিদি, বোলিং অ্যাকশন থেকে মনোভাব কে বেশি বিপজ্জনক?

২০২৩ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup) যখন ভারত ও পাকিস্তান (Ind vs Pak) মুখোমুখি হবে, তখন সবার চোখ থাকবে উভয় দলের পেস বোলারের দিকে। একদিকে আছেন বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার শাহীন আফ্রিদি আর অন্যদিকে আছেন ভারতের বুমরাহ, যিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে বিবেচিত। জাসপ্রিত বুমরাহ এবং শাহিন আফ্রিদির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, তবুও দুজনকেই সমান বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। যদি ভারতকে ২রা সেপ্টেম্বর যুদ্ধ জিততে হয় তবে বুমরাহকে তার ১০০% দিতে হবে।

সুইং ও ইয়র্কারের রাজা বুমরাহ:

বুমরাহ, পাকিস্তানি পেসারের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ বোলার। তিনি ৩০টি টেস্ট, ৭২টি ওয়ানডে এবং ৬২টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ১২৮টি টেস্ট উইকেট, ১২১টি ওডিআই উইকেট এবং ৭৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়েছেন। বুমরাহ তার বল দুই দিকে সুইং করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তার অনন্য বোলিং অ্যাকশন তাকে সারা বিশ্বের ফাস্ট বোলারদের ভিড় থেকে আলাদা করে তোলে এবং ডেথ ওভারে বোলিংয়েও তিনি খুবই ভালো। বিশ্বের কমই কোনো ব্যাটসম্যান তার ইয়র্কার সামলাতে পারে।

আফ্রিদির আছে পেস ও রিভার্স সুইং:

অন্যদিকে, আফ্রিদি একজন তরুণ বোলার, ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে তিনি একটি বড় প্রভাব ফেলেছেন। তিনি ২৭টি টেস্ট, ৩৮টি ওয়ানডে এবং ৫২টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তার নামে ১০৫টি টেস্ট, ৭৪টি ওডিআই এবং ৬৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে। আফ্রিদি তার গতি এবং প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র বল রিভার্স সুইং করা।

পরিসংখ্যানে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে তিনটি ফর্ম্যাটেই বুমরাহের বোলিং গড় এবং স্ট্রাইক রেট ভাল। টেস্ট ও ওয়ানডেতেও তার ইকোনমি রেট ভালো। তবে, টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদির ইকোনমি রেট ভালো। এখন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে আগামী ম্যাচগুলোতে কে কতটা বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। উইকেট নেওয়ার ব্যাপারে আফ্রিদির থেকে কিছুটা এগিয়ে আছেন বুমরাহ। তবে আফ্রিদিকেও অবমূল্যায়ন করা ভুল হবে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি যেভাবে ভয়ঙ্কর বোলিং করেছেন।