মেসি আবেগপ্রবণ হয়ে ৮ কোটি টাকার টিস্যু পেপার দিয়ে চোখের জল মুছে ছিলেন! জানুন কি এই স্মৃতি

এইবারের বিশ্বকাপের (FIFA Worldcup 2022) শিরোপা জিতে ধুমধাম আনন্দের উৎসব উৎযাপন করেছে মেসির আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ট্রফিতে হাত বসিয়েছে মেসির দল। দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দেশের সন্মান এবং সমর্থকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে। তবে এর পিছনে যে অনেকটাই ভূমিকা পানল করেছে মেসি তা বলাই বাহুল্য। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ৭ গোল করে সেই দেশের তিনিই সবচেয়ে বেশি গোল দাতা। এমনকি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। তার পায়ের জাদু বিপক্ষ দলের কাছে মুহূর্তে মুহূর্তে আতঙ্কের। মেসি এমনই একজন ফুটবলার যিনি সারা বিশ্বে বিখ্যাত।

Messi

তার ব্যার্থতায় অনেক ভক্তের কাছেই তার চোখের জলও অনেক মূল্যবান। লিওনেল মেসি অনেক দিন ধরে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের (Messi Barcelona club) সঙ্গে যুক্ত সকলেই জানি। তিনি ২০২১ সালের ক্লাব লীগ খেলা ছেড়ে দেন। এ সময় তিনি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। জানেন কি যে টিস্যু পেপার দিয়ে তিনি চোখের জল মুছে ছিলেন তার দাম অবাক করার মত।

 

প্রসঙ্গত, মেসি ২০২১ সালের আগস্টে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব থেকে বিদায়ের (Barcelona club messi returment) ঘোষণা করেন সেই সময় তিনি ভীষণ আবেগপ্রবণ হন এবং তার চোখ থেকে আশু আসতে দেখা গিয়েছিল। তার এই চোখের জল ছিল অমূল্য। কারণ এই ক্লাবে জড়িয়ে রয়েছে তার বহু স্মৃতি ও বুকভরা ভালোবাসা। তার স্ত্রী তাকে একটি টিস্যু পেপার দেন। যেই টিস্যু পেপার দিয়ে চোখের জল ও নাক মুছলেন মেসি। তখন কেউই কল্পনা করতে পারেনি এই টিস্যু পেপারের দাম কোটি টাকা হতে পারে।

বার্সেলোনা ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন লিওনেল মেসি। সেই সময় মেসির এক ভক্ত সেই টিস্যু পেপারটি নজরে রেখেছিলেন। পরে খবর আসতে থাকে মেসির ব্যবহৃত টিস্যু পেপার বিক্রি হচ্ছে Mercado Libre ওয়েবসাইটে। সেখানে এটার দাম রাখা হয়েছিল এক মিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। একটি টিস্যু পেপারের দাম ৮ কোটি এটি অনেকটাই অবাক করার মত তাইনা। তার একটি ভিডিও ক্লিপ এখন খুব ভাইরাল হচ্ছে।

https://www.instagram.com/p/CSZ0qVAFdoT/?igshid=YmMyMTA2M2Y=

মেসি কখন বার্সেলোনার ক্লাবে যোগ দেন?

 

জানানোর জন্য বলি, লিওনেল মেসি ২০০৪-০৫ সালে বার্সেলোনা ক্লাবের (Barcelona club messi debut) সাথে যুক্ত হয়েছেন। তিনি ২০০৫ এর ২৪শে জুন থেকেই সিনিয়র খেলোয়াড় হিসাবে বার্সেলোনা ক্লাবের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এখন তার বয়স পৌঁছেছে ৩৫ বছরে। এখন তার ক্লাব লীগ না খেলায় ভালো মনে করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়তেই তিনি আবেগপ্রবন হয়ে পরেন। তার ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে ফুটবল খেলোয়াড় হিসাবে দেশকে সসম্মানে ভূষিত করেছে। ভক্তরা তাকে আজীবন হৃদয়ে বসিয়ে রাখবে তাই বলাই শ্রেয়।