কারখানার শ্রমিক ছিলেন মেসির বাবা, জেনে নিন কিভাবে তারকা হলেন গুরুতর অসুস্থ ছোট্ট মেসি

শেষ হয়ে গেল ২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স (France) এবং আর্জেন্টিনা (Argentina)। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর লিওনেল মেসির (Leo Messi) হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা।  লিওনেল মেসি (Leo Messi) বর্তমান ফুটবলের মহা তারকা। ৩৫ বছরের বয়সী মেসির এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। আর শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়লেন লিও মেসি (Leo Messi)।

বর্তমান ফুটবল বিশ্বে মেসিকে সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে মেসির (Leo Messi) এই জার্নি মোটেও সহজ ছিল না। একটা সময় এমন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে মেসির বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে লড়াই করে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ তিনি বিশ্বের মহা তারকা হয়ে উঠেছেন।

মেসির বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন। তার মা ছিলেন একজন গৃহকর্তী। মেসির বাবা কারখানায় কাজ করার পাশাপাশি একটি ফুটবল ক্লাবে কোচিংও করাতেন। তাই ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি মেসির টান ছিল। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি একটি ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন, সেখানে ফুটবল বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা জন্মায় তার।

তবে অল্প বয়সেই মেসি গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়। তার শরীরে গ্রোথ হরমোনের ঘাটতি দেখা যায়। যার কারণে তার শারীরিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছিল না। সেই সময় মেসির চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য ছিল না তার পরিবারের। তখন মেসির পাশে দাঁড়ায় বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব। মেসির চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করে সেই ক্লাব এবং তারা মেসিকে সুস্থ করে তোলে।

১৭ বছর বয়সে তিনি বার্সেলোনা যুব দলের সঙ্গে যুক্ত হন। তার পারফরমেন্স দেখে মাত্র এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০০৫ সালে বার্সেলোনা ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় মেসি। তারপর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০০৬ সালে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে পা রাখেন মেসি। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মোট ২৬ টি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৩ টি গোল করেছেন মেসি।

মেসি এখনো পর্যন্ত সাতবার ব্যালন ডি’অর, ছয়বার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু, বার্সেলোনার হয়ে ৩৫টি শিরোপা জিতেছেন। লা লিগায় তিনি ৪৭৪ টি গোল করেছেন। বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২ টি গোল করেছেন তিনি। ফুটবলার হিসাবে মেসির শেষ ইচ্ছে ছিল বিশ্বকাপ জেতা, সেটাও ২০২২ এ এসে পূর্ণ করে ফেললেন তিনি।