ভারতসেরা মোহনবাগান! ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ডকাপ জিতে নিল মোহনবাগান

রবিবার সল্টলেক এর বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের মেগা (Durand Cup Final) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলার ২ ফুটবল জায়ান্ট মোহনবাগান (Mohunbagan) এবং ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। দীর্ঘ উনিশ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে দেখা গেল কলকাতা ডার্বি। এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল দেখার মতো।

এক দিকে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। অপরদিকে ফাইনালে মুখোমুখি কলকাতা দুই মহা শক্তিধর ক্লাব মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিক ভাবেই ফাইনালে এই ডার্বি ঘিরে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ফাইনালে এই দুই দল উঠতেই টিকিটের চাহিদা ছিল প্রবল।

এবারের ইস্ট বেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুটি দলই ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে যে হাড্ডাহাটি লড়াই দেখা যাবে সেটা আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিল ফুটবলপ্রেমীরা। রবিবারের ম্যাচে তেমনটাই দেখা গেল। খেলার শুরু থেকেই দুই দলের আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল জমে উঠেছিল।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। অপরদিকে মোহনবাগানও প্রতিআক্রমণে বারবার ইস্টবেঙ্গল গোলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল কিন্তু তাদের আক্রমণ প্রতিহত হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের সামনে। এরই মাঝে মাঠের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়, দুই দলের একাধিক ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেন। হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। প্রথমার্ধে দুই দলই গোল করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মোহনবাগান। এরই মধ্যে ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের জেভিয়ার সিভেরিয়োকে বাজে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মোহনবাগানের তারকা ডিফেন্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে।

ম্যাচের আধঘন্টা দশজন হয়ে যায় মোহনবাগান। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। অপরদিকে ১০ জনের মোহনবাগান যেন আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ৭০ মিনিটের মাথায় গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেয় পেত্রাতোস। এই গোল শোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ১-০ ফলাফলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ জিতে নিল মোহনবাগান। ২০০০ সালের পর ফের এই ট্রফি জিতল সবুজ-মেরুন। ১৭ বার এই ট্রফি জিতে ইস্টবেঙ্গলকে পিছনে ফেলে দিল মোহনবাগান।