যন্ত্রণায় ঋষভ পন্তকে ফেলে সাহায্য নয়, বরং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালালেন! এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার আসল কারণ জানুন

দুঃখের ছায়া নেমে এলো ভারতীয় ক্রিকেট শিবির সহ ক্রিয়াপ্রেমীদের। ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত (Rishabh Pant) আজ সকালে (৩০শে ডিসেম্বর) একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ‘দুর্ঘটনার পর কিছু লোক পন্তকে সাহায্য না করে তার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আবার কিছু ভিডিও বানাতে ব্যস্ত। আবার এমন একটি ফুটেজ সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার যে লেনে পন্তের গাড়ি জ্বলছিল তার পাশের লেন দিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল।’

Rishabh pant car accident

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দুর্ঘটনার পর পন্ত নিজেই গাড়ির দরজা খুলে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে সম্ভবত গাড়ির কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন তিনি, মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সাহায্য না করে কয়েকজন যুবক তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। ব্যাগটি সম্ভবত টাকারই ব্যাগ।”

 

আর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , “পন্তের কাছে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকা ছিল। দুর্ঘটনার পর টাকাগুলো সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কিছু ব্যাক্তি সাহায্য না করে টাকা জোগাড় করে ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারই মধ্যে মাত্র দুই যুবক পন্তকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”

ঋষভ পন্তের গাড়ি দুর্ঘটনা (Rishabh pant’s car accident) সংক্রান্ত এক রিপোর্ট জানিয়ে, “পন্ত নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বলা হচ্ছে, সম্ভবত তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন নতুবা অন্যমনোস্ক হয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে গাড়ি এসে সজোড়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে, গাড়ির স্পিড ছিল অত্যন্ত। এরপর বেশ কয়েকবার উল্টে আগুন ধরে যায় গাড়িটি।”

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে বাড়ি ফিরছিলেন পন্ত। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে সিরিজে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যার কারণে তিনি নববর্ষে উত্তরাখণ্ড নিজের বাড়ি আসছিলেন। দিল্লি পর্যন্ত দলের সকলে একসাথে এসে নিজ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন সকলে। আর আসার পথেই পন্তের এমন দুর্ঘটনা। জানা যাচ্ছে, রাস্তার যে পজিশনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তার এই জায়গা পাশ হতে হয় সাবধানতা অবলম্বন করে। রিপোর্টার অভিষেক ত্রিপাঠী টুইট করে জানান, “ধন্যবাদ! পন্তের সিট বেল পড়া ছিল না। গাড়িতে আগুন লাগার সাথে সাথে কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন তিনি। মাথায় ও হাঁটুতে চোট (Rishabh Pant injury) পেয়েছে। তবে জীবনের কোন ঝুকি নেই।”