টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ (T-20 Worldcup 2022) এর উত্তেজনা প্রায় শেষ। ফাইনালের সেরা পুরস্কার পেলেন স্যাম কারেন। এই প্রতিযোগিতার ‘ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ’ ও ‘ম্যান অফ দ্যা সিরিজ’ হয়েছেন। তবে তিনি পুরস্কার হাতে নিয়ে বললেন “এই ‘ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের’ পুরস্কার আমার প্রাপ্য না। এই পুরস্কার ম্যাচ (England vs Pakistan Finalmatch) জেতানো অর্ধ-শত রান করা বেন স্টোকের প্রাপ্য ছিল।” ও একজন বড় মাপের ক্রিকেটার, ওর অভিজ্ঞতা বড় ম্যাচের জন্য অনন্য।”
তবে ভুল কিছু বলেনি স্যাম কারেণ (Sam Curran)। বেন স্টোক সত্যিই বড় মাপের ক্রিকেটার। শিরোপা জেতার পিছনে রয়েছে ওর বিশাল অবদান। তার ম্যাচ জেতানো ইনিংস ভক্তদের মুগ্ধ করেছে। তার ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস ছিল শিরোপা জেতানোর মূল ভূমিকায়। পাওয়ার-প্লেতেই অ্যালেক্স হেলস, ফিলিপ সল্ট এবং অধিনায়ক জস বাটলারের মত মূল্যবান উইকেট পড়ে গিয়েছিল, তখন ম্যাচের গুরুদায়িত্ব পালন করেন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোক। এই ম্যাচে স্যাম কারেন, স্টোকের ইনিংসকেই বড় করে দেখছেন।
যখন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা একের পর এক পাকিস্তানি বোলারের কাছে পরাস্ত হচ্ছিলেন তখন ব্যাট হাতে থিতু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বেন স্টোক। যদিও রানের টার্গেট বেশি না হওয়াতে তিনিও তাড়াহুড়ো করেনি বেশি। ৪৯ বলে ৫২ রানের একটি ঝকঝকে ইন্নিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ টি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে। যার জেরে ইংল্যান্ড খুব সহজেই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নিল।
এবার আসি ২০১৯ সালের ঘটনায়। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে বেন স্টোকের ভূমিকা ছিল প্রচুর। সেখানে তিনি ফাইনাল ম্যাচে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসই ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছিল। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে কাপ নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড। ট্রফি নিয়ে গিয়েছিলেন স্টোকের দল। তিনি এই দিনেই দলকে ট্রফি জিতিয়ে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, তিনি ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজ কাপও জিতিয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলে কাপের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। তার এই ইনিংস ভুলতে পারবেনা ভক্তরা অস্ট্রেলিয়া সেই ম্যাচ হেরে ওয়াটসন আফসোস করে বলেছিলেন, “ও যদি আমাদের দলে হতো, তাহলে আজ এই অবস্থা হতো না।” তিনি একজন বড় মঞ্চের প্লেয়ার তা বহুবার প্রমান পাওয়া গেছে। এই বিশ্বকাপ জিতে তিনি আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন সত্যিই তিনি বড় মাপের খেলোয়াড়।