সম্প্রতি, দেরাদুনের ‘অভিমন্যু ক্রিকেট একাডেমি স্টেডিয়ামে’ উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে বেঙ্গল রঞ্জি দল খেলেছেন। এই ম্যাচে ওপেনার করেন অভিমন্যু ইশ্বরন (Abhimanyu Easwaran)। যিনি জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। মজাদার বিষয় হল তার নামে করা স্টেডিয়ামে খেলতে দেখা গেল। যে স্টেডিয়াম অভিমন্যুর বাবা রঙ্গনাথন পরমেশ্বরন ইশ্বরন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাবার তৈরি স্টেডিয়ামে ছেলের অংশ নিতে পারা ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার। আজ আমরা জানবো অভিমুণ্যর সাথে জড়িয়ে থাকা এই স্টেডিয়ামের কাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে দেরাদুনে একটি বিশাল জমি কিনেছিলেন অভিমুন্যের বাবা এবং একটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করতে নিজের পকেট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও ব্যয় করেন তিনি।
বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় দলের অংশ হতে পারা ইশ্বরন সেই সময় বলেছিলেন, “একটি মাঠে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে পারাটা আমার কাছে গর্বের বিষয়। যেখানে আমি ছোটবেলায় ক্রিকেটের দড়ি শিখেছিলাম। এই স্টেডিয়ামটি আমার কাছে আবেগ এবং বাবার পরিশ্রমের ফসল।”
অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেটের মহা তারকাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ অনেক দেখা যায়। কিন্তু জাতীয় দলের অংশ না হয়েও সক্রিয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের নামে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামকরণ খুবই কম। ‘অ্যান্টিগুয়ার ভিভ রিচার্ডস গ্রাউন্ড’, ‘তারউবার ব্রায়ান লারা স্টেডিয়াম’ এমন বেশ কিছু খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে অভিমন্যুর ‘অভিমন্যু স্টেডিয়াম’ সত্যিই বাবা এবং ছেলে উভয়ের জন্য একটি বিশেষ উপলক্ষ।
অভিমুন্যের বাবা বলেন, “আমি মনে করি না এরকম অনেক উদাহরণ আছে, কিন্তু আমার জন্য এটা কোনো অর্জন নয়। ভালো লাগছে! তবে, সত্যিকারের অর্জন হবে যখন আমার ছেলে জাতীয় দলে ১০০টি টেস্ট খেলবে। আমি এই স্টেডিয়ামটি শুধু আমার ছেলের জন্য নয়, খেলাধুলার প্রতি আমার আবেগের জন্য তৈরি করেছি। খেলার প্রতি অনুরাগীদের অভিনন্দন।”
আমরা আপনাকে বলি, অভিমুণ্য ইশ্বরন ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেশায় একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ১৯৮৮ সালেই ‘অভিমন্যু ক্রিকেট একাডেমি’ শুরু করেছিলেন। তারপর এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করার কাজ শুরু করেন ২০০৬ সালে। আজও এই স্টেডিয়াম আপগ্রেড করতে অভিমুন্যের বাবা নিজের পকেট থেকে ব্যয় করেন। আমরা আপনাকে বলি, বর্তমানে অভিমুণ্য রঞ্জিতে (Ranji Trophy) প্রথম শ্রেণীর দলের অংশ। যদি ভাগ্য সাধ দেয় খুব শীঘ্রই জাতীয় দলে জায়গা পাক্কা করবেন।