ক্রিকেট শুধুমাত্র ভারতীয়দের কাছে খেলা না তার থেকে অনেক কিছু বলা চলে। টিকিট ভারতের জাতীয় খেলা না হলেও ক্রিকেটের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং উন্মাদনা অন্য আর কোথাও দেখা যায় না। অনেক তরুণ ভারতীয় ক্রিকেট দলের একজন সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু একজন সফল ক্রিকেটার হতে গেলে প্রতিবার পাশাপাশি ধৈর্যও থাকা দরকার। যারা এই দুটি গুণ নিয়ে চলে তারা এতদিন ভারতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে। আবার অনেকে এরকম আছে যারা খুব কাছাকাছি গিয়েও ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।
আজ আপনাকে এমন তিনজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছি যারা ক্রিকেটার হিসাবে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু তারপরে তিনি অনুভব করেছিলেন যে এটি তার জন্য সঠিক কজায়গা নয়। তারপরে তারা তাদের পেশা পরিবর্তন করে। এবং বিভিন্ন জায়গায় একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরে।
হার্ডি সান্ধু
হরবিন্দর সিং সান্ধু ওরফে হার্ডি সান্ধু বিখ্যাত পাঞ্জাবি গান যেমন সোচ, নাহ গোরি, জোকার, ডান্স লাইকের জন্য পরিচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন আগে তিনি ফাস্ট বোলার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। কিন্তু পরে ২০০৭ সালে চোটের কারণে ক্রিকেট ছেড়ে দেন।তারপর হার্ডি সান্ধু গানে মনোনিবেশ করেন। এবং তিনি পরে হিট হয়েছিলেন। পাঞ্জাবি ছবি ছাড়াও বলিউডেও গান করেছেন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতের জয় নিয়ে ’83’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। এতে তিনি প্রাপ্তন ফাস্ট বোলার মদন লালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
তেজস্বী যাদব
বিহারের সুপরিচিত নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদবও ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ঝাড়খণ্ড রঞ্জি দলের ক্রিকেটের জগতে এসেছেন তিনি। ২০০৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৯-এ বিরাট কোহলির সাথে তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলেও ছিলেন। তবে আইপিএলে মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি।যখন তিনি বুঝতে পারলেন যে ক্রিকেটে তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই, তখন তিনি তা থেকে অবসর নেন। এরপর ২০১২ সালে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০১৫ সালে, তিনি প্রথমবারের মতো বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। একই সময়ে, ২০২৩ সালে, তিনি দ্বিতীয়বারের মতো বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হন।
আকাশ চোপড়া
আকাশ চোপড়াও একসময় ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটে সক্রিয় ছিলেন। দিল্লি দলে তাঁর সঙ্গী ছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগ। তবে ক্রিকেট বিশ্বে যে খ্যাতি ও মর্যাদা আশা করেছিলেন আকাশ পাননি। ২০০৮
সালের আইপিএলেও ছিলেন তিনি। কিন্তু এখানে তার দুর্বল ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিকেট জগতে খুব একটা নাম করতে পারেনি।পরে আকাশও বুঝতে পেরেছিল যে ক্রিকেট তার জন্য সঠিক জিনিস নয়। এরপর ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট থেকেই অবসর নেন। এবং তিনি ধারাভাষ্যকার হয়ে ওঠেন। এছাড়াও মাঝে মাঝে ম্যাচের মাঝে অ্যাঙ্করিং করেন।