ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এইরকম অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা আমাদের চোখের পলকে হারিয়ে গেছেন। কিন্তু তাদের কিছুই অবদান আমরা কোনদিন ভুলতে পারবো না। এইরকমই এক ক্রিকেটার ভালাজি দামোর, যিনি
অন্ধ ক্রিকেটে তার আবেগ দেখিয়েছেন, পেটের জন্য আজকাল মহিষ-ছাগল চড়াচ্ছেন। ভালাজি দামোর ১৯৯৮ সালের অন্ধ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি মহিষ-ছাগল চরাতে বাধ্য হয়েছেন।
১৯৯৮ সালে অন্ধ ক্রিকেটের প্রথম বিশ্বকাপে, ভালাজি দামোর তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ভারতকে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারত ১৯৯৮ সালের অন্ধ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গিয়েছিলো।
অন্ধ ক্রিকেটে ভালাজি দামোর রেকর্ড চমৎকার এবং তিনি ১২৫ ম্যাচে ৩১২৫ রান করেছেন এবং ১৫০ উইকেটও নিয়েছেন। ভালাজি ডোমোর, যিনি ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কে. আর নারায়ণনের কাছ থেকেও পুরস্কারটি গ্রহণ করা হয়। তবে ভালাজি ডোমার এমন কোনো কাজ পাননি, যেটা তার দরকারি যেটার নিয়ে তার পুরো জীবন জীবন নির্বাহ করতে পারে।
ভালাজি দামোর আরাবল্লী জেলার পিপরানা গ্রামের বাসিন্দা। আজকাল ভালাজি দামোর গ্রামের খামারে কাজ করেন। এ ছাড়া বাঁচতে তাদের মহিষ ও ছাগলও চরাতে হয়। ভালাজী ডোমারেরও স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। ভালাজী বাবুর কোনো ভালো বাড়ি নেয় এখনো। তাকে মাটিতে অব্দি ঘুমোতে হয়। তার এই কষ্টের সময় কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি। জানিনা তিনি কখনো তার যোগ্য সম্মান পাবেন কিনা।