ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) মধ্যে খেলা প্রথম ওয়ানডে হয়তো জিতেছে ভারতীয় দল। তবে, টিম ইন্ডিয়া এবং বিসিসিআই তাদের তরুণ খেলোয়াড়দের ব্যাটিং দেখে নিশ্চয়ই চিন্তিত। বিশেষ করে বিশ্বকাপের এক বছরে এই ধরনের ব্যাটিং ফ্লপ অবশ্যই সবাইকে নাড়া দিয়েছে। তরুণ ব্যাটসম্যান ইশান কিষাণ ছাড়া ব্যাট হাতে হতাশ সবাই। যদিও ভারতীয় দল এই ম্যাচে সহজেই ৫ উইকেটে জিতেছে। তবে কোথাও না কোথাও এখনও টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং সম্পূর্ণরূপে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির উপর নির্ভর করে।
আসলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং ক্লাউড নাইনে ছিল। রোহিত সেনা মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ান দলকে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সামনে মাত্র ১১৫ রানের লক্ষ্য ছিল। এই বিষয়টি মাথায় রেখে টিম ইন্ডিয়া তাদের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে তরুণ ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব দিতে বলেছে। টপ অর্ডারে ব্যাট করতে আসেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি।
রোহিত যখন সাত নম্বরে ব্যাট করছেন, বিরাট কোহলি তখনও ব্যাট করতে আসেননি। একভাবে, রোহিত এবং বিরাটকে ছাড়া এটি ছিল টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং অর্ডারের পরীক্ষা, যাতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল। শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ড্য, শার্দুল ঠাকুরের মতো খেলোয়াড়দের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নীত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের ব্যাটিংয়ে সবাই হতাশ।
গিল ৭, সূর্য ১৯, পান্ডিয়া ৫ এবং শার্দুল মাত্র ১ রান করেন। ভারতের পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ১০০ রানের মধ্যেই। এতে বোঝা যায় ভারতীয় দলের ব্যাটিং কতটা নির্ভর করছে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ওপর। এটা ভারতের জন্য অশুভ লক্ষণ। কারণ একটা সময় আসবে যখন দুই জায়ান্টই ব্যাটিং অর্ডারে থাকবে না।
প্রথম ওয়ানডে ইনিংসে ওপেন করতে তরুণ ব্যাটসম্যান ইশান কিষানকে পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিষাণ এই সুযোগ দুহাতে গ্রহণ করেছিলো। দ্রুত গতিতে রান করতে গিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১১৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার সময় কিশান ৪৬ বল মোকাবেলা করে ৫২ রান করেন। এই ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কাও দেখা গেছে তার ব্যাট থেকে। ঈশানই একমাত্র যিনি এই ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দেখিয়েছেন।