বিশ্বকাপ হারতেই T20 ক্রিকেটে বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেল এই ৪ ভারতীয় তারকার

বৃহস্পতিবার টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত (India) এবং ইংল্যান্ড (England)। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ১৬৮ রান তোলে ভারত (India)। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। সেমিফাইনাল ম্যাচে ভারতকে দশ উইকেটে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড (England)। ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড দল।

বিশ্বকাপে ভারতের হারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিদায় এর ঘন্টা বেঁচে গেল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের তালিকা:-

১) দীনেশ কার্তিক:- ঋষভ পন্থের পরিবর্তে এবারের বিশ্বকাপে দীনেশ কার্তিকের উপরই ভরসা রেখেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। গ্রুপ পর্বের প্রায় সব কটি ম্যাচেই দীনেশ কার্তিককে খেলানো হয়েছিল কিন্তু তিনি যথাযথ পারফরম্যান্স করতে পারেননি। এই মুহূর্তে দীনেশ কার্তিকের (Dinesh Kartik) বয়স দাঁড়িয়ে গেছে ৩৭ বছর। অর্থাৎ আগামী দিনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দীনেশ কার্তিকের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

২) ভুবনেশ্বর কুমার:- এবারের বিশ্বকাপে অনেক বেশি ভরসা করা হয়েছিল ভারতের এই সিনিয়র বোলারের উপর। সেমিফাইনালে তার ভালো বোলিংয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল আপামর ভারতবাসী। কিন্তু বল হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন ভুবনেশ্বর কুমার (Bhubaneswar Kumar)। তার বলে অনায়াসে চার ছয় মারছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে একাধিক তরুণ বোলারের উদয় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনে ভুবনেশ্বর কুমারের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।

৩) মহম্মদ সামি:- গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পর আর ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের সুযোগ পাননি মহম্মদ সামি (Mahammad Sami)। তবে এবারের বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ করে বুমরা চোট পেয়ে যাওয়ায় সুযোগ পেয়ে যান সামি। বিশ্বকাপে ভালো বল করলেও সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যেখানে সামির কাছ থেকে ভালো বোলিং এর আশা করেছিল ভারতীয় দল সেখানে তিনি চূড়ান্ত হতাশ করলেন।

৪) রবিচন্দ্রন অশ্বিন:- এবারের বিশ্বকাপে একজন সিনিয়র বোলার হিসেবে অশ্বিন কে দলে নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু তিনি টিম ম্যানেজমেন্ট এর প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ। বল হাতে তেমন পারফরমেন্সই করতে পারেন নি রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Rabicandran Aswin)।